WBBSE New Guideline :নতুন বছর ২০২৩ সাল শুরু হতে না হতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে ইতিমধ্যেই স্কুলশিক্ষকদের জন্য এক বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হলো । আর এই নির্দেশে বাধ্যতামূলকভাবেই প্রত্যেকটি স্কুলের শিক্ষকদের মানতেই হবে এই নিয়ম । আর তা না হলে পরবর্তীতে এসে প্রত্যেক শিক্ষককেই পড়তে হতে পারে নানা সমস্যায়। যার কারনে প্রধান শিক্ষকদের দেওয়া ওই নির্দেশনামায় স্কুল পরিচালনা থেকে শুরু করে,আরো একঝাঁক নির্দেশ ,স্কুল শিক্ষকদের নিয়েই মূলত কড়া কড়ি ভাবেই করা হয়েছে।এছাড়াও আরো জানা গেছে যে ২০২৩ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকরী হবে । তবে এই নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে যে প্রত্যেকটি শিক্ষকের স্কুলের হাজিরা থেকে শুরু করে তাঁদের মোবাইলের ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছু কঠিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে WBBSE এর তরফে।তো চলুন আর দেরি না করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই নিয়মগুলি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
★মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি শিক্ষককেই মানতে হবে যে নিয়মগুলিঃ
১) নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রী-সহ স্কুলশিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ক্লাস শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগেই বিদ্যালয়ে ঢোকা বাধ্যতামূলক।
২) আর প্রত্যেকটি স্কুলেই নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১০.৪০ থেকে ১০.৫০ মিনিটের মধ্যেই বিদ্যালয়ের
সমস্ত রকম প্রার্থনা সঙ্গীত সম্পন্ন করতে হবে ।
৩) আর শিক্ষকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করা নিয়ম হল যে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী যদি ১১টা বেজে ০৫ মিনিট লেটে স্কুলে আসনে, তাহলে তাঁকে ওই দিনের জন্য অনুপস্থিত বলেই গন্য করা হবে।
৪) এই নির্দেশিকা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা বিকেল ৪.৩০ মিনিটের আগে কোনো ভাবেই কেউ স্কুল থেকে যেতে পারবেন না।
৫) এ ছাড়াও প্রত্যেক শিক্ষককে ক্লাস নেওয়া ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করতে হবে।
৬) তবে খুব দরকার পড়লে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই স্কুলের প্রধানশিক্ষক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষককেও ক্লাস নিতে হবে।
৭) সারা বছরের হিসেব অনুয়ায়ী রবিবার বাদে স্কুলে মোট ৬৫ দিন ছুটি থাকবে,অর্থাৎ মোট কার্যদিবস হল ২৩৬ দিন।
৮) তবে যেসমস্ত স্কুল গুলিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য সেন্টার পড়বে তাদের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ২২৭ দিন এবং ২২৩ দিন।
কোটাক কন্যা স্কলারশিপে আবেদন করলেই রাজ্যের সমস্ত মেয়েরা পেয়ে যাবেন নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা,শীঘ্রই আবেদন করুন।
★বিদ্যালয়ে ঢোকার পরে শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহার করা নিয়েও রয়েছে কিছু বিধিনিষেধঃ
১) বর্তমানে এই নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রত্যেকটি স্কুলেই মোবাইল ব্যবহার করা নিয়েও শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের মধ্যে নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
২) ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনোয় কোনও রকম ব্যাঘাত যাতে না ঘটে, তাই ক্লাসে বা ল্যাবরেটরিতে শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের ব্যবহার করতে পারবেন না।
৩) তবে বিশেষ জরুরি ভিত্তিতে যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেই হয় তবে তা করতে হবে প্রধানশিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে,
এবং তা করতে হবে স্কুলের একটি নির্দিষ্ট জায়গায়, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনোর বিষয় থাকবে না।
৪) শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রেও মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। আর ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসা পুরোপুরি বন্ধ করার কথা ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরকম আরো তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো করুন ।