বর্তমান সময় আজকের দিনে দাঁড়িয়ে প্রায় প্রতিটা মানুষেরই কম বেশি SBI তে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে SBI ব্যাংকের তরফে মাঝে মাঝেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের জন্য নয়া সুবিধা চালু করা হয়। এবার থেকে আপনার পরিবারেও কন্যা সন্তান থাকলেই তাদেরকে দেওয়া হবে বিশেষ সুবিধা। এই Sukanya Samriddhi Yojana যোজনায় আবেদনকারীরা আবেদন করলেই পাবেন নগদ ১৫ লক্ষ টাকা।
তাছাড়াও রয়েছে আরো অনেক সুবিধা। এর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের নিকটবর্তী শাখায় যেতে হবে এবং এই যোজনার সুবিধা পেতে ব্যাঙ্কের শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তো চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক এই যোজনার বিস্তারিত খুটিনাটি সম্পর্কে। এবং এই যোজনায় কি কি সুবিধা পাওয়া যায় সমস্ত কিছু।
★এই Sukanya Samriddhi Yojana তে কীভাবে টাকা পাওয়া যাবে দেখে নেওয়া যাকঃ
প্রসঙ্গত, কন্যা সন্তানদের বাঁচাতে, তাদের শিক্ষিত করতে একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফে (কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও ইত্যাদি)। বর্তমানে আবেদনকারীরা সেগুলির মাধ্যমে একাধিক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।
তবে এবার SBIও সেই তালিকায় যুক্ত হল। এই যোজনার মাধ্যমে যে কেবল কন্যাদের উচ্চশিক্ষিত করা সম্ভব হবে, তা নয়। বরং তাদের বিবাহের জন্য ব্যবস্থা করা যাবে। অর্থাৎ পাওয়া যাবে মোটা অঙ্কের টাকা।
★Sukanya Samriddhi Yojana এর সুবিধাঃ
১) বছরে নূন্যতম ২৫০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। আর সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা করা যাবে।
২) পরিবারের সর্বোচ্চ দুটি কন্যাসন্তানের জন্য এই যোজনার অধীন অ্যাকাউন্ট ওপেন করা যাবে। যদিও এই নিয়মে সম্প্রতি পরিবর্তন আনা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তির প্রথম সন্তানের মধ্যে একটি কন্যা থাকে ও দ্বিতীয়বার যমজ কন্যার জন্ম হয়, তবে সেই পরিস্থিতিতে সরকার তিন মেয়ের জন্যই সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেবে।
৩) এই যোজনায় অ্যাকাউন্টে আয়কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে।
★অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়মঃ
১) এই অ্যাকাউন্ট খুলতে নিকটবর্তী ব্যাঙ্কে বা পোস্ট অফিসে যেতে হবে।
২) সেখান থেকে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।
৩) আবেদন ফর্ম পূরণ করে সমস্যার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত করে জমা করতে হবে।
★সুদের হার–
বার্ষিক ৭.৬% হারে মিলবে সুদ। কোন সময় এই যোজনার সুবিধা বেশি পাওয়া যাবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, কন্যার বয়স ১ বছর হলে, সেই সময় এই অ্যাকাউন্ট ওপেন করলে মেয়াদপূর্তিতে অধিক সুবিধা পাওয়া যাবে।
★প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
১) কন্যা সন্তানের জন্মের শংসাপত্র।
২) কন্যার পিতা মাতা বা অভিভাবকের পরিচয়পত্র (আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড)।
৩) ঠিকানার প্রমাণপত্র।
৪) ব্যাংক বা পোস্ট অফিস তরফে চাওয়া সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস।
★পোস্ট অফিসের এই স্কিম করতে গেলে কিভাবে করা যাবেঃ
১) কন্যার জন্মের শংসাপত্র,।
৩) আবেদনকারীর ঠিকানার প্রমাণপত্র ইত্যাদি নথি জমা করতে হবে।
৩) আরো বিশদে জানতে হলে নিকটবর্তী ব্যাংক বা post অফিসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে যোগযোগ করতে পারেন।
written by- Dulal Roy
এরকম আরো তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো করুন ।