ভারতে (esim) ইসিম কার্ড চালু হয়েছে প্রায় দীর্ঘদিন হয়ে গিয়েছে। তবে সেভাবে দেখতে গেলে এই সিমের পরিষেবা ও ব্যবহার তেমনভাবে প্রচলিত হয়নি সমগ্র দেশজুড়ে। তবে বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে আজকের দিনে হয়তো বা অনেক লোকেই জানেন না যে সিম কার্ড ছাড়াও চালানো যেতে পারে মোবাইল ফোন। তবে সেটা কি করে তা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে সকলের মনে আর প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক, কেননা সকলেই হয়তো ভাববেন যে একটি মোবাইল ফোন কিভাবে সিম কার্ড ছাড়া চলতে পারে। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি হ্যাঁ এখন সিম কার্ড ছাড়াও যেতে পারে মোবাইল চালানো। ভারতে esim ইসিম কার্ড এর নাম শোনেননি এমন লোক হয়তো নেই বললেই চলে। তবে তুলনামূলকভাবে অনেকেই জানেন না এই ইসিম কার্ডের বিষয়ে,কি এই ইসিম কার্ড, এবং কিভাবেই বা কাজ করে এটি। তাই আজ আমরা এই esim সিম কার্ড সম্পর্কে সমস্ত খুঁটিনাটি জানাতে চলেছি এই প্রতিবেদনে। তাই আর দেরি না করে চলুন এবার এই ইসিম কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এই eSIM কার্ড কী? এবং এই সিম কার্ড কিভাবে কাজ করে সমস্ত কিছু জেনে নেওয়া যাকঃ
বেশ অনেক দিন ধরেই চালু রয়েছে এই ইসিম কার্ড ব্যবস্থা। কিন্তু অনেকেই এই eSIM প্রযুক্তির অস্তিত্ব সম্পর্কে জানেন না। কারণ সব ধরনের স্মার্টফোন এই ব্যবস্থা ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়নি।আর যে কারনেই যেকোনো ধরনের মোবাইলে এই eSIM কার্ডের ব্যবস্থা যোগ করার জন্য একটি ব্যয়বহুল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। আর তার মূল কারণ হল এটি সরাসরি মাদার বোর্ডের সাথেই যুক্ত রেখেই তৈরি করা হয়েছে।
এটি কখনো মোবািল ফোন থেকে আলাদা করা যায় না। তবে অ্যাপল হল সেই ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি যার বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই এই প্রজুক্তি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। তবে এই ইসিম কার্ড সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্মার্টফোনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর যেটাকে বর্তমানে Google এর থেকেও সমর্থন করা হয়। তবে সবচেয়ে বড় দিক হলো যে এই eSIM কার্ড কাজ করে কীভাবে।
এই eSIM কার্ডটি কি?
সবার প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে এই সিম কার্ডটি কোনও ইলেকট্রনিক-সিম নয়। এটি এমবেডেড -সিম নামেই বাজারে পরিচিত এবং এর কারণ হল ইএসআইএম প্রযুক্তি ফোনের মাদারবোর্ডে এমবেডেড বা সোল্ডার করা হয়। এই বিকল্পটি স্মার্টওয়াচ এবং ড্রোনগুলিতেও পাওয়া যায়। কারণ এটি ডিভাইসে একটি অতিরিক্ত সিম কার্ড স্লট তৈরি করার ঝামেলা দূর করে। সহজ কথায়, এই এমবেডেড বা ডিজিটাল সিম ব্যবহারকারী দের একটি ফিজিক্যাল ন্যানো-সিম ব্যবহার না করেই তাদের ক্যারিয়ার থেকে একটি সেলুলার প্ল্যান ব্যবহার করতে দেয়। এয়ারটেল, জিও, এবং ভিআই হল একমাত্র সংস্থা যারা ভারতের স্মার্টফোনে eSIM ব্যবস্থা অফার করে। এন্ড্রয়েড এবং আইওএস দুই ক্ষেত্রেই এই সুযোগ দেওয়া হয়।
কোন কোন মোবাইল ফোনে এই eSIM সাপোর্ট করেঃ
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে বেশিরভাগ আইফোনেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। iPhone 6 এবং তার উপরের আরো যে সমস্ত নামি দামি মডেলগুলিতেই এই eSIM ব্যবহার করা যেতে পারে । তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার যোগ্য স্যামসাংএর এমন অনেক ফোনের মধ্যেই রয়েছে আর সেই গুলি হল গ্যালাক্সি এস২০ সিরিজ, এস২১ সিরিজ, সমস্ত জেড ফোল্ড স্মার্টফোন এবং জেড ফ্লিপ ডিভাইস।
কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল স্মার্টফোনগুলিকে এই প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
এবার জেনে নেওয়া য়াক এই ইসিমের কি কি সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছেঃ
eSIM এর সুবিধা
১) প্রায় ৫ টি সিম প্যাকেজ ইনস্টল করে ব্যবহার করতে পারবেন।
২) যখন ইচ্ছা প্রয়োজন মত মোবাইল নেটওয়ার্ক বা অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন।
৩) সিম কার্ড খোলার প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র অপশন থেকে প্যাকেজ সিলেক্ট করলেই হলো।
৪) সিম কার্ড হারানোর কোন সুযোগ নেই।
৫) বিভিন্ন অপারেটরের জন্য আলাদা আলাদা প্লাস্টিক সিম কার্ড প্রস্তুত করতে হবেনা বলে এটি পরিবেশ বান্ধব।
eSIM এর অসুবিধা
১) যে ফোনে ই সিম ব্যবহার করছেন, ফোনটি নস্ট হলে সিম কার্ডে রাখা কন্টাক্টস বা মেসেজ রিকভার করার কোন সুযোগ নেই।
২) আপনার গতিবিধি পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে এমন সন্দেহ হলে, সিম খুলে রাখার কোন সুযোগ নেই।
এরকম আরো তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো করুন ।