Madhyamik Exam Guidelines 2023 : একজন ছাত্র ও ছাত্রীর শিক্ষাজীবনের সবথেকে বড়ো পরীক্ষা হলো মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023)। আর ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এই মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে নানা নির্দেশিকা জারি করা হল। বর্তমানে যে নির্দেশিকা না মানলে একজন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে বেশিদিন আর বাকি নেই, আর এরই মাঝে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বিশেষ এক বিজ্ঞপ্তি জানিয়ে সমস্ত বিদ্যালয় গুলিকে সতর্ক করা হলো। এবং এর সাথে সাথেই সমস্ত স্কুলগুলিকে নিতে বলা হয়েছে বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা। তোর চলুন আর দেরি না করে আজকের প্রতিবেদনে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত পুরো তথ্য, বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রী কে পরীক্ষা দেওয়ার আগে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিতঃ
২০২৩ সালের Madhyamik পরীক্ষা নিয়ে এক্কেবারে ঢেলে সাজাতে উঠে পড়ে লেগেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পঞ্চায়েত নির্বাচন এরজন্য হাতেও বেশি একটা সময় নেই বল্লেই চলে। এর মধ্যেই এই পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করতে বেশ কয়েক দফা নির্দেশ জারি করল WBBSE,গঠন করা হল মনিটরিং কমিটিও। এই কমিটি তৈরি হল জেলা আহবায়ক, সাব দিভিসনাল আহবায়ক এবং অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য কি বলা হয়েছে (Madhyamik Exam Guidelines 202)
১) এই মাধ্যমিক পরীক্ষাকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং সুন্দরভাবে সাজাতে যে নতুন বিষয়গুলিতে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে তা হলো-
২) প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের শৌচাগার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৩) পাশাপাশি বিদ্যালয়ে CCTV-এর ব্যবস্থাও করতে হবে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়। এর মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে নজরদারি করা যাবে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সমস্ত স্কুল শিক্ষকদের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি।
৪) এছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক আসবাবপত্র বিদ্যালয়ে থাকতে হবে। তবে এখন প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাবে। সেগুলি যাতে সঠিক ভাবে ক্লাস অনুযায়ী সাজানো থাকে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
৫) মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় যাতে শ্রেণীকক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলোর ব্যবস্থা থাকে সেইদিকেও নির্ধারিত কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে। তার কারণ এমন অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে আলোর অভাবে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
৬) পাশাপাশি অসুস্থ পরীক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ে আলাদা ঘরের ব্যবস্থা রাখা আবশ্যক। নচেৎ নাহলে তাদের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না।
৭) সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, ব্যাগ এবং অন্যান্য যাবতীয় সরঞ্জাম রাখার জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
৮) পরিদর্শকের পরীক্ষার হলে যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেদিকেও বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই সমস্ত বিষয়ে নির্ধারিত বিদ্যালয়ে গিয়ে নজরদারি চালানোই হলো মনিটরিং কমিটির কাজ।
এরকম আরো তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো করুন ।