মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত কৃষকদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের তরফে নানাবিধ প্রকল্প কার্যকরি করা হয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত প্রকল্পগুলির মধ্যে Krishak Bandhu Prakalpa রাজ্যের কৃষক সহ অন্যান্য নাগরিকদের মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিতি পেয়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সূত্র মরফাত জানা গেছে যে,খুব শীঘ্রই রাজ্যজুড়ে পুনরায় দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প আয়োজিত হতে চলেছে। আর ইতিপুর্বেই যেসমস্ত কৃষকরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Prakalpa Apply) আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেননি তারা এই নতুন বছরে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন এই দুয়ারের সরকার ক্যাম্প থেকেই। তোর চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক নতুন পদ্ধতিতে কিভাবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন করা যায়।
★কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মোট অনুদানঃ
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কৃষকরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক বছরই ৪,০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। আর কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অনুদানের টাকা ২ টি কিস্তিতে সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে জানা গিয়েছে, যে বর্তমানে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় সমস্ত কৃষকরা তাদের নিজ নিজ জমির পরিমাণ অনুসারেই টাকার অনুদান পেয়ে থাকেন।
কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাদের জানিয়ে রাখি যে যেসমস্ত কৃষকদের মোট ৬ শতক কিংবা তার চেয়ে কম পরিমাণের জমি রয়েছে তারা প্রতিবছরে ৪ হাজার টাকা পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে, যেসমস্ত কৃষকদের ১ একর কিংবা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমি রয়েছে তারা প্রতিবছরের ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়ে যাবেন। আর যেসকল কৃষকদের ৬ শতক থেকে শুরু করে ১ একর পরিমাপের মধ্যে যেকোনো পরিমাণ জমি রয়েছে তারা ৪০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যে যেকোনো আমানতের অনুদান পেয়ে যাবেন।
★কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যে সমস্ত কৃষক আবেদনর জন্য যোগ্যঃ
রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, যেসমস্ত কৃষকদের নিজস্ব জমির রয়েছে তারাই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে একজন কৃষকের বয়স ১৮ বছর থেকে শুরু করে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এছাড়াও কৃষকদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি যে, একই পরিবারের একাধিক সদস্য এই প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রে প্রত্যেক সদস্যের পৃথক পৃথক জমি থাকা আবশ্যক।
★কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন করতে যে সমস্ত ডকুমেন্টস অবশ্যই সাথে রাখতে হবেঃ
১) ভোটার কার্ড।
২) সাম্প্রতিক বছরের জমির রেকর্ড (যেসমস্ত কৃষকদের রেকর্ড নেই তাদের ক্ষেত্রে পর্চা বা জমির দলিল)।
৩) ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত ডিটেইলস।
৪) আধার কার্ড।
written by-Dulal Roy
এরকম আরো তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো করুন ।