100 দিনের কাজে আধার বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ও আন্দোলন শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি সংগঠন আধার বাধ্যতামূলক কর্মকর্তাদের সংক্রান্ত নির্দেশনামূলক বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে উঠিয়ে আসছে।
নারেগা সংঘর্ষ মোর্চা একটি ঐতিহাসিক সংগঠন যা সমস্যাগুলির বিস্তারিত দেখতে এবং সমাধান করতে অবদান রাখছে। তাদের মতে, আধার বাধ্যতামূলক করার ফলে কর্মকর্তাদের বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা কমে যাবে এবং এটি অনেকের জীবনে বেশি বাধা উত্পন্ন করবে।
একজন মজুর কর্মকর্তা হিসাবে, আমি বলতে চাই যে আমাদের মানবিক অধিকার এবং উন্নয়নের জন্য একজন কর্মকর্তার পাশাপাশি একটি মানবজাতির সমাজও প্রয়োজন। সবার জীবনের ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, আধার ভিত্তিক মজুরি পেতে পারেন অধিকাংশ শ্রমিক এবং সময় বাড়ানোর পরেও এই সুযোগ অন্যান্য ২০ শতাংশ শ্রমিকের জন্য প্রযোজ্য হয়নি। শুরুতেই একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার আমূল পরিবর্তন করেছে। এছাড়াও, ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করে সরকার দুর্নীতির অভিযোগের সামনে সামর্থ্য প্রদর্শন করেছে।
গত মে মাসে পরীক্ষামূলক ভাবে ডিজিটাল হাজিরা নেওয়া চালু হয় এবং এখন নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে হাজিরা নেওয়ার কাজ শুরু হবে। এটি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক তারিখ ২০২৩-০৪-২০ তে ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের কাজের জায়গার লোকেশন ও সময় সংযুক্ত হবে এবং এই তথ্যগুলো সুপারভাইজারদের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে জানানো হবে।
এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার জানাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দুর্নীতি সম্পর্কে যথেষ্ট কর্মসূচি নেওয়েছে। তাছাড়া, কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছেন যে সমস্ত অভিযোগ পর্যালোচনার পরে সম্পূর্ণ বিবেচনার মাধ্যমে সমাধান নেওয়া হবে।
written by- Dulal Roy
এরকম আরো তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো করুন ।